হ্যালো, সবাই কেমন আছেন? আজ আমি একটা বই নিয়ে কথা বলতে চাই, যেটার নাম আমার ফাঁসি চাই (Amar fashi chai)। এই বইয়ের লেখক তাঁর জীবনের সত্যি ঘটনা আর বাংলাদেশের রাজনীতির পেছনের কথা তুলে ধরেছেন। বইটির কিছু অংশ পড়ে আমার মনে হয়েছে, এটা শুধু একটা গল্প নয়, বরং আমাদের দেশের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা আর সাধারণ মানুষের জীবনের একটা আয়না। চলুন, এই বইয়ের মূল কথাগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করি।
লেখক বলেছেন, তিনি এই বই লিখেছেন অতীতের সত্য ঘটনা থেকে ভবিষ্যতের পথ দেখানোর জন্য। তাঁর মতে, ইতিহাস জানলে ভবিষ্যৎ বোঝা সহজ হয়। তিনি শুধু নিজের দেখা আর জানা ঘটনাগুলোই লিখেছেন। কিন্তু তিনি এটাও মানেন যে, তাঁর অজানা আরও অনেক কিছু আছে। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন যে, রাজনীতিবিদ বা দেশের নেতারা আমাদের থেকে খুব বেশি জ্ঞানী বা যোগ্য নন। বরং অনেক ক্ষেত্রে আমরা, সাধারণ মানুষই বাস্তব বুঝতে তাদের থেকে এগিয়ে।
লেখকের দাবি, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ আর প্রশাসকদের মধ্যে অনেকেই লোভী আর ক্ষুদ্র মনের মানুষ। তিনি এই বইয়ের মাধ্যমে তাদের আসল চেহারা জনগণের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন। বিশেষ করে আগামী প্রজন্মের জন্য এই ধরনের লেখা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
আমার ফাঁসি চাই বই পিডিএফ
এই বই লেখার পর লেখক অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছেন। অনেকেই তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এটা প্রকাশ না করতে। কিন্তু লেখক আর তাঁর স্ত্রী সেই পরামর্শে রাজি হননি। তাঁরা মনে করেছেন, কারও দুর্বল সময়ে পেছন থেকে আঘাত করা সাহসের কাজ নয়। তাই শেখ হাসিনার শাসনামলেই এই বই প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের ভরসা, “রাখে স্রষ্টা, মারে কে?”
লেখকের জীবনে একটা বড় ঘটনা ঘটেছে। তিনি আর তাঁর স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। এই ঘটনাই তাঁদের এই বই লেখার প্রেরণা দিয়েছে। তাঁরা বলছেন, শেখ হাসিনার এই “বেআইনি” আদেশ না থাকলে হয়তো এই বই লেখার কথা তাঁদের মাথায় আসত না। তাঁরা এই বইয়ে শুধু সত্যি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এজন্য তাঁরা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও দিয়েছেন, কারণ তাঁর এই পদক্ষেপই তাঁদের এত বড় কাজে উৎসাহ দিয়েছে।
লেখকের মতে, রাজনীতি মানুষকে দেওয়ার জন্য, পাওয়ার জন্য নয়। কিন্তু তিনি দুঃখ করে বলেছেন, শেখ হাসিনা এটা বুঝতে পারেননি। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন এই কথা বোঝাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা “পরাজিত” হয়েছেন। তাঁদের সত্য কথা বলার জন্যই শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার তাঁদের “বিপজ্জনক” মনে করেছেন।
আমার ফাঁসি চাই বই
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি সংবিধান রক্ষা করবেন, সবার প্রতি ন্যায়বিচার করবেন। কিন্তু লেখকের দাবি, তিনি তাঁর শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাঁদের (লেখক ও তাঁর স্ত্রীকে) অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা সংবিধানবিরোধী ও বেআইনি। এটা শেখ হাসিনার শপথের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
লেখক মনে করেন, এই বই পড়ে কেউ কেউ তাঁদের গালি দেবেন, আবার কেউ কেউ সতর্ক হবেন। পাঠক কী ভাববেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। কিন্তু তাঁরা এই সত্য প্রকাশ করাকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করেছেন।
আমার ফাঁসি চাই বইয়ের পিডিএফ তথ্য
বিষয় | বিস্তারিত |
---|---|
বইয়ের নাম | আমার ফাঁসি চাই |
লেখকের উদ্দেশ্য | অতীতের সত্য তুলে ধরে ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্য করা |
প্রকাশের সময় | শেখ হাসিনার শাসনামলে |
কেন লেখা হলো? | শেখ হাসিনার অবাঞ্ছিত ঘোষণার প্রতিবাদ ও সত্য প্রকাশ |
মূল বার্তা | রাজনীতি দেওয়ার জন্য, পাওয়ার জন্য নয় |
সমালোচনা | রাজনীতিবিদদের লোভ ও ক্ষুদ্রতা |
আমার মতামত
এই বইয়ের কথা পড়ে আমার মনে হয়েছে, লেখক সত্যিই সাহসী। তিনি যে ঝুঁকি নিয়েছেন, সেটা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বড় কথা। তবে এটাও সত্যি যে, এই বই সবাইকে খুশি করবে না। কেউ কেউ হয়তো এটাকে বিরোধিতা হিসেবে দেখবেন। কিন্তু আমি মনে করি, সত্য বলার সাহসই আসল জয়। এই বই আমাদের ভাবতে বাধ্য করবে যে, আমাদের দেশের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে।
বন্ধুরা, আমার ফাঁসি চাই বইটা আমাদের জন্য একটা চোখ খোলার মতো। এটা আমাদের বোঝায় যে, রাজনীতি শুধু ক্ষমতার খেলা নয়, এটা মানুষের জন্য কাজ করার মাধ্যম হওয়া উচিত। লেখকের এই প্রচেষ্টা আমাদের প্রশ্ন তুলতে শেখায়—আমরা কি আমাদের নেতাদের থেকে সঠিক কাজ আশা করব? নাকি আমাদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে? আপনারা কী মনে করেন, আমাকে জানান। আর হ্যাঁ, বইটা পড়ে দেখতে পারেন। হয়তো আপনারও অনেক কিছু ভাবার জায়গা পাবেন। এই ধরনের শিক্ষা বিষয়ক তথ্য সবার পড়তে শিক্ষা নিউজকে নিয়মিত অনুসরণ করুন, এছাড়া শিক্ষা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।