বন আমাদের পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, প্রাণীকূলের বাসস্থান নিশ্চিত করা এবং বাতাস পরিশোধনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রাকে সহায়তা করে। প্রতিটি দেশের উচিত বন সংরক্ষণে সচেতন হওয়া, যেন প্রকৃতি টিকে থাকে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা পায়।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কেবল বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই বন ধ্বংসের হার বেড়েই চলেছে। বিগত একশ বছরে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন হেক্টর বনাঞ্চল নিশ্চিহ্ন হয়েছে, যা প্রকৃতির জন্য ভয়াবহ সংকেত। আদর্শভাবে, প্রতিটি দেশের মোট ভূমির অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ বাংলাদেশে এই হার ৫-৭ শতাংশের বেশি নয় বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
বন ধ্বংসের ফলে পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাড়ছে এবং অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে পড়ছে। তাই আমাদের উচিত বৃক্ষরোপণ ও বন সংরক্ষণের দিকে মনোযোগ দেওয়া, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা যায়।
বন ধ্বংসের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো
বনভূমি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, তবে বিভিন্ন কারণে এটি দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষের নানা কার্যকলাপ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বনভূমির পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী কারণে বনভূমি ধ্বংস হয়।
নির্মাণ সামগ্রী আহরণ– ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, কৃষি সরঞ্জাম, নৌকা, বিদ্যুতের খুঁটি, রেললাইনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির জন্য প্রচুর পরিমাণে কাঠের প্রয়োজন হয়। কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়, যা বনভূমি ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারণ।
জ্বালানি সংগ্রহ– গ্রামাঞ্চলে রান্নার কাজে, ইটভাটায়, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ও অন্যান্য জ্বালানি প্রয়োজনীয় কাজে কাঠ ব্যবহার করা হয়। অনেক জায়গায় গ্যাস বা বিদ্যুৎ সহজলভ্য না হওয়ায় মানুষ বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে। ফলে বনভূমি ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে পড়ে।
পরিবেশ দূষণ– শিল্প কারখানা, যানবাহনের ধোঁয়া ও অন্যান্য রাসায়নিক দূষণের ফলে বাতাসে বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে। এসব দূষিত পদার্থ গাছের পাতায় জমে সালোকসংশ্লেষণ ব্যাহত করে, যা গাছের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয় এবং ধীরে ধীরে গাছ মরে যায়।
বসতি স্থাপন– বিশ্বের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, ফলে নতুন নতুন বসতি গড়ে তুলতে বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে। বিশেষ করে শহর ও গ্রামাঞ্চলে নতুন বাড়ি-ঘর নির্মাণের জন্য প্রচুর পরিমাণে গাছ কাটা হয়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
অভিবাসন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি– একটি অঞ্চলে মানুষের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে তারা নতুন বসতির জন্য বন কেটে ফেলে। বিশেষ করে গ্রাম থেকে শহরে কিংবা নতুন এলাকায় স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে বনভূমি উজাড় হয়ে যায়।
কৃষিজমি সম্প্রসারণ– ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটাতে চাষাবাদের জমি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কৃষিজমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য বনভূমি কেটে ফেলা হচ্ছে, যা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
অর্থকরী গাছ রোপণ– অনেক সময় কাঠ থেকে বেশি লাভ পাওয়ার আশায় প্রাকৃতিক বন কেটে দ্রুত বর্ধনশীল গাছ যেমন রাবার, ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি ইত্যাদি রোপণ করা হয়। এতে প্রাকৃতিক বন কমে যায় এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়।
শিল্প কারখানার সম্প্রসারণ– দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য নতুন নতুন কলকারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব স্থাপনাগুলো নির্মাণের জন্য বন কেটে সমতল জমি তৈরি করা হয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য বিপদ সৃষ্টি হয়।
অবৈজ্ঞানিক বনায়ন– বনভূমি সংরক্ষণের জন্য বনায়ন করা হলেও, অনেক সময় সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া ভুল গাছ লাগানো হয়। এতে মাটির গুণগত মান নষ্ট হয় এবং পরবর্তী সময়ে এই গাছগুলোর কারণে পরিবেশের ক্ষতি হয়।
অতিরিক্ত পশুচারণ– গবাদি পশুর অবাধ চারণের ফলে ছোট ছোট চারাগাছ নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে ধীরে ধীরে গাছপালা কমতে থাকে এবং বনভূমি ধ্বংস হয়ে পড়ে।
রোগ ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ– একই ধরনের গাছ বেশি থাকলে সেগুলো রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণে সহজেই আক্রান্ত হয়। প্রাকৃতিক বনগুলোতে বিভিন্ন গাছের মিশ্রণ থাকায় এটি স্বাভাবিকভাবে রোগ প্রতিরোধ করতে পারে, কিন্তু মনোকালচার বনভূমিতে এটি সম্ভব হয় না।
দাবানল– বিভিন্ন দেশের বনভূমি দাবানলের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা হাজার হাজার একর বনভূমিকে নষ্ট করে ফেলে।
ঝুম চাষ– পাহাড়ি এলাকায় আদিবাসীরা ঝুম চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করে। এতে বনভূমি কেটে ফেলা হয় এবং একবার ফসল উৎপাদন হওয়ার পর মাটি অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে নতুন করে গাছ জন্মানো সম্ভব হয় না এবং বনভূমি চিরতরে ধ্বংস হয়ে যায়।
ঝড়-তুফান ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ– প্রচণ্ড ঝড়, ঘূর্ণিঝড় ও সাইক্লোনের কারণে অনেক গাছ উপড়ে পড়ে এবং বনভূমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের বনভূমি বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
মরুকরণ প্রক্রিয়া– বনভূমির মাটির আর্দ্রতা কমে গেলে তা ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হয়। এভাবে ধীরে ধীরে পুরো বনভূমি ধ্বংস হয়ে যায় এবং সেখানে নতুন গাছ জন্মানো কঠিন হয়ে পড়ে।
বন্যপ্রাণী নিধন– বনের ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু শিকার ও বনসংরক্ষণের অভাবে বাঘ, হরিণ, হাতি, বানরের মতো প্রাণীগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী না থাকলে বনভূমির স্থায়িত্ব কমে যায় এবং ধীরে ধীরে এটি ধ্বংস হয়ে যায়।
- আরও পড়ুন– সামাজিক পরিবেশের উপাদান গুলো কি কি।
বনভূমি আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে, অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে মানুষের অসচেতনতা ও অতিরিক্ত বন নিধনের ফলে দিন দিন বনভূমি কমে যাচ্ছে। বন সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হওয়া জরুরি। বন সংরক্ষণ না করলে পরিবেশের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই বনভূমি রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বন ধ্বংসের ফলে যা সমস্যা হয়
বনভূমি পৃথিবীর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু গাছপালার আবাসস্থলই নয়, বরং মানুষের জীবনযাত্রার ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কিন্তু নানা কারণে বনভূমি ধ্বংসের ফলে পরিবেশের ওপর বিপর্যয় নেমে আসে। এতে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাণিজগতের সংকট ও অর্থনৈতিক ক্ষতির মতো নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। নিচে বনভূমি ধ্বংসের কিছু মারাত্মক ফলাফল আলোচনা করা হলো।
বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধির কারণে দূষণ– বনভূমি ধ্বংসের অন্যতম ভয়াবহ পরিণতি হলো বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) যোগ হওয়া। প্রতিবছর বনভূমির গাছ পোড়ানোর ফলে প্রায় ২০-২৫% CO₂ বায়ুমণ্ডলে যুক্ত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ। এই গ্যাস সূর্যের তাপকে আটকে রেখে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা জলবায়ুর পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে।
গ্রীনহাউস ইফেক্ট বৃদ্ধি– বনজ্বালানি পুড়িয়ে যে কার্বন নির্গত হয়, তা বায়ুমণ্ডলে মিশে গ্রীনহাউস ইফেক্ট সৃষ্টি করে। এটি পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যায় এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানবজীবন বিপর্যস্ত হয়।
পৃথিবীর ‘ফুসফুস’ ধ্বংস হওয়া– বনভূমি পৃথিবীর ফুসফুসের মতো কাজ করে। গাছপালা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে বাতাস থেকে CO₂ গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন উৎপন্ন করে। কিন্তু বনভূমি ধ্বংস হলে এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে বাতাসে CO₂ বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশ দূষিত হয়।
ভূমিক্ষয় ও মরুকরণ– বনভূমির শিকড় মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে এবং ভূমিক্ষয় রোধ করে। কিন্তু বনভূমি ধ্বংস হলে বৃষ্টির পানিতে মাটি ধুয়ে যায়, ফলে ভূমিক্ষয় ঘটে। দীর্ঘ মেয়াদে এই ভূমিক্ষয় মরুকরণের কারণ হয়, যা কৃষির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নদীর নাব্যতা হ্রাস ও বন্যার প্রবণতা বৃদ্ধি– বনভূমি ধ্বংসের ফলে ভূমিক্ষয়ের কারণে প্রচুর পরিমাণ মাটি নদীতে গিয়ে জমা হয়, যার ফলে নদীর গভীরতা কমে যায়। বিশেষ করে, হিমালয়ের পার্বত্য এলাকা থেকে আসা মাটি বাংলাদেশের নদীগুলোতে জমা হয়ে নদীর নাব্যতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে বর্ষাকালে বন্যার প্রকোপ বেড়ে যায়, যা মানুষের জীবন ও কৃষি খাতের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
বনাঞ্চলের অধিবাসীদের বাস্তুচ্যুতি– বনভূমি ধ্বংস হলে শুধু গাছই নয়, বরং সেখানে বসবাসকারী মানুষরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও বননির্ভর সম্প্রদায় জীবিকা হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়। তারা বাধ্য হয়ে শহরে আশ্রয় নেয়, ফলে নগরায়ণের চাপ বাড়ে।
জলবায়ুর পরিবর্তন ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাত– বনভূমি বৃষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনাঞ্চল ধ্বংস হলে জলবায়ুর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়, যার ফলে কখনও অতিবৃষ্টি, কখনও অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। এতে কৃষিকাজ ব্যাহত হয় এবং খাদ্যসংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়।
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে যাওয়া– বনভূমি বৃষ্টির পানি ধারণ করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর পুনরায় পূরণ করতে সাহায্য করে। কিন্তু বনভূমি ধ্বংস হলে পানি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায় এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ধীরে ধীরে নেমে যায়। ফলে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়।
বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস ও বিলুপ্তি– বনভূমি ধ্বংস হলে বন্যপ্রাণীরা তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল হারায়। তারা নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে বসতি এলাকাগুলোতে প্রবেশ করে, যার ফলে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ে। অনেক প্রাণী খাদ্যের অভাবে বিলুপ্তির পথে চলে যায়।
মূল্যবান বনজসম্পদ হারিয়ে যাওয়া– বনভূমি থেকে নানা ধরনের মূল্যবান কাঠ, ফলমূল ও ঔষধি গাছ সংগ্রহ করা হয়, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বনভূমি ধ্বংস হলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হারিয়ে যায়, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ের তাণ্ডব বৃদ্ধি– বনভূমি, বিশেষ করে ম্যানগ্রোভ বন (যেমন সুন্দরবন), ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু বনভূমি ধ্বংস হলে উপকূলীয় অঞ্চল দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে ঘূর্ণিঝড়ের সময় ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।
বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়া– বনভূমি ধ্বংস হলে খাদ্যশৃঙ্খল ভেঙে পড়ে। বিভিন্ন প্রাণী খাদ্য সংকটে পড়ে, যার ফলে বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। এক প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে গেলে অন্য প্রজাতি হুমকির মুখে পড়ে, যা প্রকৃতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারিয়ে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া– বনভূমি একটি দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম উৎস। বনভূমি ধ্বংস হলে দেশ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারায়। এতে পর্যটকরা কম আসে, ফলে পর্যটন খাতের আয় কমে যায় এবং কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়।
- আরও পড়ুন– সুন্দরবন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য।
শেষ কথা
বনভূমি ধ্বংসের ফলে শুধু পরিবেশের ক্ষতি হয় না, বরং এটি মানুষের জীবনযাত্রার ওপরও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বনভূমি রক্ষা করা জরুরি। নতুন গাছ লাগানো, বন সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া বনভূমি রক্ষা করা সম্ভব নয়। যদি আমরা এখনই উদ্যোগ না নিই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি বিপর্যস্ত পৃথিবীর মুখোমুখি হবে। সুতরাং, বনভূমি রক্ষায় আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।