প্রিয় পয়াঠক, এই লেখায় আমি ২০২৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং সিলেবাস উল্লেখ করে দিয়েছি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০২৭ সালের এসএসসি (SSC) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস (Syllabus) প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির বিষয় কাঠামো, মূল্যায়ন নির্দেশিকা এবং নম্বর বিভাজনও প্রকাশ করা হয়েছে। এই সিলেবাস ও নির্দেশিকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২-এর ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই শিক্ষাক্রম কার্যকর হয়েছে।
এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এই সিলেবাস ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস (Full Syllabus)-এর ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। এনসিটিবি ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির জন্য বিষয় কাঠামো, নম্বর বিভাজন, সময়বণ্টন এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রকাশ করেছে।
২০২৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ
২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাসে বেশ কিছু পরিবর্তন ও সংযোজন করা হয়েছে। এই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবহারিক জ্ঞান এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা এবং নম্বর বিভাজনও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৭ সালের এসএসসি মূল্যায়ন পদ্ধতি
২০২৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মূল্যায়ন পদ্ধতি (Assessment System)-এ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক দক্ষতার ওপরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রতিটি বিষয়ে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক অংশে আলাদা নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।
- তত্ত্বীয় অংশ: তত্ত্বীয় অংশে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান যাচাই করা হবে। এই অংশে সৃজনশীল প্রশ্ন, বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ) এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকবে।
- ব্যবহারিক অংশ: ব্যবহারিক অংশে শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক দক্ষতা যাচাই করা হবে। বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) এবং অন্যান্য বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হওয়া এই শিক্ষাক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং ব্যবহারিক দক্ষতা বাড়ানো। এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের শুধু মুখস্থবিদ্যার পরিবর্তে বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, “এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গতিশীল ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নয়, বরং জীবনমুখী শিক্ষা অর্জন করুক।”
এই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং ব্যবহারিক দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করতে হবে। অন্যদিকে, অভিভাবকদেরও শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহায়ক মনোভাব পোষণ করতে হবে।
২০২৭ সালের এসএসসি শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি
২০২৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এই সিলেবাস একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। শিক্ষার্থীদের উচিত সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করা এবং তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক উভয় অংশেই সমান গুরুত্ব দেওয়া। নিয়মিত অনুশীলন এবং সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে। ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সিলেবাস শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী শিক্ষা অর্জনে সহায়ক হবে। এনসিটিবির এই উদ্যোগ শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও যুগোপযোগী এবং গতিশীল করতে সাহায্য করবে।
আশাকরি ২০২৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ এই তথ্যটি আপনাদের উপকারে এসেছে। শিক্ষার্থীদের উচিত সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করা এবং পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া। আশা করা যায়, এই নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও ব্যবহারিক দক্ষতা বাড়াতে সক্ষম হবে। এসএসসি বিষয়ক তথ্যের আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের এই ক্যাটাগরি ঘুরে দেখুন।